আহত হামিম তরফদার ওই গ্রামের শাহেদুল তরফদারের ছেলে। সে উপজেলার মাটিভাঙ্গার হাজী আব্দুল গাণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত শিশুটির বাবা জানান, তার ছেলে গত মঙ্গলবার বিকালে তার দাদি বাহারন বেগমের গাছের একটি বাতাবি লেবু পেড়ে ছয় জন বন্ধু মিলে খায়। এ ফল খাওয়া দেখে পার্শ্ববর্তী জাফর শেখ তার গাছের ফল খেয়েছে ভেবে ক্ষিপ্ত হন। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করার সময় তাকে ডেকে নিয়ে নদীর পাড়ের একটি মেহগনি গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে বেধম মারধর করে। পরে মাথায় কুপিয়ে আহত করে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। বিষয়টি স্থানীয় একটি শিশুর মুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার অশেষ প্রতীম রায় জানান, শিশুটিকে ধারালো কোনও কিছু দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জাফর শেখ জানান, ‘দুই দিন আগে ওই শিশুটি আমার গাছের বাতাবি লেবু চুরি করে খায়। বিষয়টি জানতে চাইলে সে আমাকে ঘুষি মারে। এতে তাকে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এতে তার বাবা ও আত্মীয়স্বজন আমার ওপর হামলা করেছে।’
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এখনও এমন কোনও খবর পাইনি। তার পরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।