তিন মাস পর মিয়ানমার থেকে এলো ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

 

মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজকক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। প্রায় তিন মাস পর শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ছোট ট্রলারে এই পেয়াঁজ টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র জমা দিলে আমদানি করা এই পেয়াঁজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খালাস শেষে ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় তিন মাস পর মিয়ানমার থেকে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দুটি ট্রলারে করে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। কাগজপত্র বুঝিয়ে পেলে শনিবার খালাস করা হবে।’ সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ী আরফাতুল রহিম। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আমদানি করা পেঁয়াজের বস্তাগুলো ট্রলারের পড়ে আছে।

এদিকে, মিয়ানমারে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় গত তিন মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মালামাল যাওয়া-আসা বন্ধ ছিল।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন, ‘ফের মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ (শুক্রবার) ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব পেঁয়াজ যত দ্রুত সম্ভব খালাস করে বাজারে পৌঁছানো হবে। এর আগে সর্বশেষ গত আগস্টে ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছিল মিয়ানমার থেকে। 

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন এবং আগস্টে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।