পাঁচদিন আটকে থাকার পর ভোমরা বন্দরে এলো ৩১ ট্রাক পেঁয়াজ

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকসীমান্তের ওপারে টানা পাঁচদিন আটকে থাকার পর অবশেষে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১টি ট্রাক এসে পৌঁছেছে।

সাতক্ষীরা ভোমরা কাস্টমস সহকারী কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩১টি ট্রাকে ৯৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শনিবার দুপুর ১টা থেকে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢুকতে শুরু করে। প্রতি ট্রাকে ২২-২৫ টন পেঁয়াজ এসেছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সীমান্তের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজবোঝাই ২৫৫টি ট্রাক আটকে ছিল। সেগুলোর মধ্যে ৩১টি ট্রাক বন্দরে আসতে পেরেছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমের আশা, বাকি ট্রাকগুলো পর্যাক্রমে প্রবেশ করবে।

ভারতীয় সিএন্ডএফ জানিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে ভোমরা ও হিলিসহ বাংলাদেশের তিনটি বন্দর দিয়ে মোট ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানির ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। সেই হিসাবে ৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভোমরা বন্দর দিয়ে আসার কথা রয়েছে।

তবে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজবোঝাই আরও ২২৪টি ট্রাক আটকে আছে। পাঁচদিন আটকে থাকার কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

ভোমরা কাস্টমস সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর আগে গত মার্চ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৯৫৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।

মার্চে মাসে ১৮ হাজার ২১২ মেট্রিক টন, জুলাইয়ে ৩৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন, আগস্টে ২৬ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন এবং ১৩ সেপ্টেম্বরের পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৬৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। মাঝে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এপ্রিল, মে ও জুনে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।