ওপারে দাঁড়ানো পেঁয়াজভর্তি ২৫০ ট্রাক, হিলি দিয়ে ঢুকেছে মোটে ১১টি

 

হি‌লি স্থলবন্দর দি‌য়ে আমদা‌নি করা পেঁয়াজ



অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখার পর আগের এলসির পেঁয়াজ ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দিলেও শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকতে পেরেছে মাত্র ১১টি ট্রাক। এসব ট্রাকে এসেছে ২৪৬ টন পেঁয়াজ। অথচ হিলি স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের সীমান্তে এখনও দাঁড়িয়ে আছে পেঁয়াজবাহী প্রায় ২৪০টি ট্রাক।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো এ স্থলসীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর মধ্য দিয়ে ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। তবে বাকি দুই শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক দ্রুত না ছাড়ায় এগুলোর পেঁয়াজ কী পরিমাণ নষ্ট হয়েছে তা নিয়ে আমদানিকারকরা ব্যাপক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন ঊর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের দিল্লিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত রবিবারের  টেন্ডার হওয়া  পেঁয়াজগুলো  রফতানির অনুমোদন পাওয়ায় আজ শনিবার বন্দর দিয়ে এগারোটি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। তবে রফতানি হওয়া এসব পেঁয়াজ ১০/১২দিন ধরে ট্রাকে ট্রিপল বাঁধা অবস্থায় থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে গলে গন্ধ বেরিয়েছে। আমদানির অর্ধেক পেঁয়াজ ভালো পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতে করে আমরা আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছি। এরপরও দাবি জানিয়েছি, দাঁড়িয়ে থাকা বাকি পেঁয়াজের ট্রাকগুলো যেন রফতানি করা হয়। একইসঙ্গে যেসব এলসি দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মালামাল যেন রফতানি করা হয়। এ বিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা তাদের দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোরহাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউন জানান, গত সোমবার কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়াই হুট করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গত সোমবার থেকে বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এরপরে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে অনুমতি মেলায় আজ বন্দর দিয়ে ৫দিন পর আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। কাঁচামাল হওয়ায় এগুলো খুব দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।