সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের টাউন হলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত রেজুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল, যুগ্ম-সম্পাদক মুজিবুল হক আকন্দ, তরুণ কর্মকার, প্রচার সম্পাদক এম আলম খান কামাল ও দফতর সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে জেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভা করেছে। দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শারমিন মৌসুমি কেকা সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বিভিন্ন অপকর্ম করে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন তিনি। সভায় অংশ নেওয়া নেতারা কেকাকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করেছেন। ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর নির্দেশেই এ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলেও দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট এক নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও নির্যাতনের পরে চুল কেটে দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপুসহ ছয় জনের নামে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে রাতেই সদর থানায় মামলাটি লিপিবদ্ধ হয়।
এছাড়া ঝালকাঠির সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে ও খেলার মাঠ নষ্ট করে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক স্টল নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে শারমিন মৌসুমি কেকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত নেত্রী পাপিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ রয়েছে। এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির তেমন কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় ডাক্তারের চেম্বরে আছি, পরে কথা বলবো’।
অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে কেকাকে দল থেকে বহিষ্কারের। রেজুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানোর পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।