এ অবস্থায় কৃষক ও কৃষির জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়ে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের মাধ্যমে ফসলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসলের ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের মাধ্যমে ফসলের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষকের জন্য চালু করতে কৃষিবান্ধব চিকিৎসা সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক’।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় প্রায় ২৩ হাজার ৩২০ জন কৃষক প্রায় ১১৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করেন। সবজি মৌসুমের শুরু থেকেই নানা রোগ-বালাইয়ে ফসলের ক্ষতি হয়। হাঁট-বাজার থেকে নানা ধরনের কীটনাশক কিনে সবজি ও ধান ক্ষেতে প্রয়োগ করেও অনেক সময় ফল পাওয়া যায় না। কৃষকের এই ক্ষতি কমাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ।
ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর পর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়। এদিন প্রায় এক হাজার কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরামর্শ পেয়ে কৃষকরা বলেন, এর আগে এমন করে কোনও কর্মকর্তা ফসলের চিকিৎসা দিতে গ্রামে আসেননি। এ উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। আগে গ্রাম থেকে কৃষি অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিতে হয়েছে। এখন গ্রামে এসে কৃষককে ফসলের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলার ২৩ হাজার কৃষককে ঘরে ঘরে গিয়ে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের মাধ্যমে ফসলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ফসলের মাঠে এই ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকটি যাবে। সেখানকার কৃষকরা ক্লিনিকে এসে ফসলের রোগ-বালাই, পোকা-মাকড়ের তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন। শুধু তাই নয়, ফসলের কী সমস্যা তা স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা থাকবেন। এ ক্লিনিকে
এসে ফসলের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণে কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানান তিনি।