স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ: ধর্ষক ও তার মা বাবাসহ গ্রাম্য মাতব্বর গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি আবাসন প্রকল্পে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক রাজিব রবিদাসকে (১৯) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় বিচারের নামে সময়ক্ষেপণ ও পুলিশকে জানাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় মাতব্বরসহ ধর্ষকের মা-বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঘিওর উপজেলার নিন্দাপাড়া আবাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা ও অভিযুক্ত রাজিব রবিদাসের বাবা আবু রবিদাস (৪৫), মা  জোসনা রানী দাস (৩৬) ও একই উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের মাতব্বর মো. তামেশ খান (৭৫)।

ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, বাড়িতে খাবারের পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার বিকেলে ওই কিশোরী বাড়ির অদূরে একটি টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এ সময় রাজিব রবিদাস তাকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে রাজিবকে ধরে ফেলে।

তবে নির্যাতনের শিকার পরিবারটিকে পুলিশের সহায়তা নিতে বাধা দিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানো এবং মীমাংসা করার জন্য দুই দফায় সময় নেন স্থানীয় মাতব্বর তামেশ খান। তবে মীমাংসার ধরনে সন্তুষ্ট না হয়ে পুলিশকে মোবাইল ফোনে ঘটনা খুলে বলেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার রাতে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে রাজিবসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই শিশুর মা বাদী হয়ে রাজিব রবিদাসকে প্রধান আসামি ও ঘটনা মীমাংসার চেষ্টায় অভিযুক্তের বাবা, মা ও মাতব্বরকে আসামি করে ঘিওর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।