প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয়ে আসে। পরে তারা গুলি করতে শুরু করলে অফিসের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। পরে দুর্বৃত্তরা অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াত দুষ্ট-চক্র আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর করে চলে গেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দুর্বৃত্তরা চিহ্নিত।’
উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।’ তিনি এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মন্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তিনি ফেসবুক লাইভে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।