রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাভওয়ার (ABHWR)। এর পূর্ণ রূপ ‘Advanced Biopola Humanoid Walking Robot’। কাজটিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন দল নেতা দুর্গা প্রামানিক এবং মৌসুমি কণা, সুমনা আক্তার ও আফরিন আহমেদ বৃষ্টি।
রোবটটির বিশেষত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বলেন, নার্সের কাজ ছাড়াও যেকোনও অফিসে এটি রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। একইসঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন কাজেও সক্ষম রোবটটি। রোবটটিতে ব্লুটুথ সংযোগ থাকায় অফলাইনেও এটি কাজ করতে পারবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়া হাঁটা-চলা ও কথা বলতেও সক্ষম বিশেষ এই রোবট।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ বছরের ২৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি পরীক্ষাগারে রোবট বানানোর কাজ শুরু হয়্ তবে করোনার কারণে তিন মাস বিলম্বের পর সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ কাজ শেষ হয়। এরপর বেশকিছু প্রক্রিয়া শেষে ২১ সেপ্টেম্বর এটি নিজ বিভাগে উন্মুক্ত করা হয়।
বিভাগের প্রধান মো. করম নেওয়াজ বলেন, ডিপার্টমেন্ট থেকে শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এই ধরনের চমৎকার কাজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অসাধারণ কর্মদক্ষতার অধিকারী, যার প্রমাণ এই উদ্ভাবন। এটাকে ডেভেলপ করতে আরও কিছু কাজ চলছে। রোবটটির পেছনে যারা কাজ করেছে, তারা প্রত্যেকেই মেয়ে। মেয়েরা যে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই, এটা তার প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে একই বিভাগের ছয় শিক্ষার্থী রোবট ‘মিরা’ বানান। যা ওই সময় দেশব্যাপী দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।