কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের আহবায়ক আ. লতিফ খসরু জানান, উপজেলার আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব আমরাজুড়ি, আশোয়া গ্রাম ও সোনাকুর ফেরিঘাট এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ও গাবখানে তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার কৃষি জমি আর মানুষের বসতি। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমড়াজুড়ি বাজার। গন্ধর্ব জানকিনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার আশপাশ জুড়ে চলতি বর্ষা আর জোয়ারের প্লাবনে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ফেরিঘাটের সুপার ভাইজার মো. শাহ আলম জানান, গত এক যুগ ধরে কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় অব্যাহত ভাঙন চলছে। হঠাৎ করে এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফেরিঘাটটি বিলীনের মুখে। গত দুই বছরে ঘাট দুটি অন্তত ২০ দফা স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমানে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
আমরাজুড়ি ফেরিঘাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার গাজী জানান, মূল বাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। ইতোমধ্যে আমরাজুড়ি ফেরিঘাট ও বাজারের অন্তত ২৫টি দোকান এবং কয়েকশ’ বাড়ি বিলীন হয়েছে। ফেরিঘাট মসজিদও রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে।
গত এক মাসে আমরাজুড়ি ফেরিঘাটের ছয়টি দোকান নদীতে হারিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে ঘাট, বাজার ও বাড়ি-ঘর রক্ষা সম্ভব হবে না।
পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাশ বলেন, আমরাজুড়ি এলাকার নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরোধ গড়ার জন্য ডেভলেপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।