যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙনের মুখে বিদ্যালয়

Bogura-26-09-20-Picture-01

 

বগুড়ায় কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সারিয়াকান্দিতে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীতে প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বাঙালি ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকালে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নারচী ইউনিয়নের চরগোদাগাড়ী, গণকপাড়া, সদর ইউনিয়নের চর বরুরবাড়ী, পাইকপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের চর মাছিরপাড়া, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশহাটা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চরগোদাগাড়ী এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে চরগোদাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মেঝের মাটি ধসে গিয়ে বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোন মূহুর্তে ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষব মাহফুজার রহমান বলেন, ২০০২ সালে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যালয় ভবনটি গত ৫ বছর আগে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। এবছর নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে উপজেলার ৩শ’ হেক্টর জমির ফসল বন্যা কবলিত হয়েছে।