গত দশ দিন ধরে টানা বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার। এরইমধ্যে নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি নদীগুলোর পানিও যেকোনও সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনা। টানা বৃষ্টিতে জেলার দশ উপজেলার মধ্যে বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, সদর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় রোপা আমনের উঠতি ফসল তলিয়ে গেছে। এ বছর কয়েক দফা বন্যায় রোপা আমনের বীজতলা ক্ষতির পর উঠতি ফসল ডুবে যাওয়ায় সামনের দিনগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।
জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সিদলী গ্রামের বাসিন্দা কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রথমবার বন্যায় বীজতলার ক্ষতি হলো। তারপর আবার বীজতলা তৈরি করলাম, আবার বন্যায় ক্ষতি হলো। এভাবে পরপর পাঁচবারের বন্যার ক্ষতি পোষানো নিয়ে প্রতিটি কৃষকের এখন দুশ্চিন্তা, কী হবে আগামী দিনগুলোতে, কীভাবে চলবেন তারা।’
আগামীতে কৃষকদের প্রণোদনার আশ্বাস দিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বলেন, ‘এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা মোকাবিলায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করছি। তালিকা কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। পরে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হবে।’
এ বছর নেত্রকোনায় এক লক্ষ ৩২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে।