এমসি কলেজের নিরাপত্তাসহ সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে: তদন্ত কমিটির প্রধান

এমসি কলেজ ও ছাত্রাবাস পরিদর্শন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি 
এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। ছাত্রাবাস পরিদর্শনের আগে তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান শাহেদুল খবির চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তদন্ত কমিটি প্রধান বলেন, ছাত্রাবাসের ঘটনাটি খুবই অশোভনীয়। এজন্য সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। আমরা ঘটনাস্থল দেখেছি। সেইসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনাও করেছি। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবাসের ঘটনার দুটি পার্ট রয়েছে। একটি পার্টে তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর আমাদেরকে তদন্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা, ছাত্রাবাসের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ নানা বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে সাড়ে ছয় মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিভাবে এমসি কলেজের ছাত্রাবাস খোলা থাকে এবং সেখানে ছাত্ররা অবস্থান করে তা খতিয়ে দেখা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী জানান, কমিটি ৩দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

এর আগে বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যদের তদন্ত কমিটি এমসি কলেজে এসে পৌঁছে। এসময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কলেজ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ছাত্রাবাসে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও ছবি সংগ্রহ করেন তারা।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস জোর করে খোলা রাখে ছাত্রলীগের কিছু ক্যাডার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকালে প্রাইভেট কারে চড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা এক নবদম্পতিকে আটক করে এই ছাত্রাবাসে নিয়ে এসে স্বামীকে ব্যাপক মারধর ও স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন ক্যাডার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো−এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন এখন রিমান্ডে রয়েছে।

আরও পড়ুন:

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় আরও ৩ জনের পাঁচদিনের রিমান্ড

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, আসামিদের হয়ে লড়ছেন না আইনজীবীরা

এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পরিদর্শনে আসছে তদন্ত কমিটি

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত শেষ আসামি গ্রেফতার

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: রবিউল ৫ দিনের রিমান্ডে

আমরা কোনও অপরাধ করি নাই, ঘটিয়েছে ওরা তিন জন: আদালতে সাইফুর ও অর্জুন

৫ দিনের রিমান্ডে সাইফুর ও অর্জুন 

এমসি কলেজে ধর্ষণ: বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রাজন গ্রেফতার

প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় পুলিশের জালে আটকা পড়ে সাইফুর

গ্রেফতার এড়াতে দাড়ি কেটে ফেলে সাইফুর, ভারতে পালাতে চেয়েছিল অর্জুন

প্রশ্নবিদ্ধ এমসি কলেজের তদন্ত কমিটি, বহাল তবিয়তে হোস্টেল সুপার

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেফতার

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেফতার

ধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে সীমান্তে নজরদারি

প্রাইভেট কারেই ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধূকে 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মী বরখাস্ত 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ কর্মীদের শাস্তি চায় আ.লীগ

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রাখা দম্পতিকে উদ্ধার করলো পুলিশ

কলেজ বন্ধ, তারপরও শিক্ষার্থী ছিল এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে