বন্যার পানি বৃদ্ধির হার কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

সি১

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরের সিংড়ার আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির হার কমলেও বেড়েছে ক্ষতি আর দুর্ভোগ। ইতোমধ্যেই দুটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। ভেঙেছে কয়েকটি বাড়ি। দীর্ঘদিন নদীর ড্রেজিং না হওয়া, নদী ও বিলের সংযোগ বন্ধ করা, খাল ভরাট ও বিলের আয়তন কমে যাওয়াকেই এমন দুর্যোগের জন্য দায়ী মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বারনই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বিল এলাকা ছাড়াও পানি প্রবেশ করেছে পৌর এলাকায়। এমন অবস্থায় ক্ষণে ক্ষণে পানিবন্দি হচ্ছে নতুন এলাকার মানুষ। বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের সংখ্যা। তবে বন্যার্ত পরিবারের সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু জানান, সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে পৌর অঞ্চলের পানিবন্দি দশার উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পৌর এলাকার শোলাকুড়া মহল্লা ও তাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর-হিয়াতপুর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে নতুন করে ওই এলাকার বিভিন্ন পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০টি বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১১ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বুধবার ছিল ১০৫ সে.মি এবং মঙ্গলবার ছিল ৯০ সে.মি। অপরদিকে নলডাঙ্গার বারনই নদীর পানি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিপৎসীমার ৩৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে. যা বুধবার ছিল ২০ সে.মি এবং মঙ্গলবার ছিল বিপৎসীমার ১১ সে.মি ওপরে।

তিনি আরও জানান,আত্রাই নদীর পানি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের হুরাসাগর হয়ে যমুনায় মেশে। এই পথের অনেক জায়গায় সোঁতিজাল দেওয়ায় নদীর পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করার কারণেও বন্যার পানি নামতে দেরি হয়। ফলে মানুষের দুর্ভোগের সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দ্রুতই নদী ড্রেজিং, খাল খননসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশ্বস্ত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী।