২ মিলের গোডাউনেই ৩ হাজার মে.টন ধানের অবৈধ মজুদ

IMG_4219 copy

 

দিনাজপুরের মিলগুলোতে অবৈধভাবে মজুদ করা ধান-চাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ। অভিযানের প্রথম দিনেই দুটি মিলের গোডাউনেই ৩ হাজার ৩৫০ মে.টন ধানের মজুদ পেয়েছেন তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের কাছে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং অবৈধভাবে মজুদ করা ধান ও চাল বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সদরের উলিপুর খোয়ারের মোড় ও পশ্চিম শিবরামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী। এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশ্রাফুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ও র‌্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকালে সদরের উলিপুর এলাকার খোয়ারের মোড় নামক এলাকায় হৃদয় অটো রাইস মিলের গুদাম ঘরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে ৩টি গোডাউনে মোট ৬৫০ মে.টন ধান মজুদ পাওয়া যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সচল মিলে ৩০০ মে.টনের বেশি ধান মজুদ রাখা যাবে না। আবার মজুদকৃত ধান একমাসের বেশিও রাখা যাবে না। কিন্তু সেখানে ওই মিলটি অচল হওয়ার পরও ধান মজুদ রেখেছে। একইসঙ্গে মিলে যেসব ধান রয়েছে, সেগুলো প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মজুদ করা।

IMG_4216 copy

সেখানে হৃদয় অটো রাইস মিল, আশরাফ অটো রাইস মিল ও ইস্পাহানি অটো রাইস মিলের যৌথ মজুুদ ছিল। মজুদের পক্ষে কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আগামী চার দিনের মধ্যে মজুদকৃত ধান বাজারজাত করার নির্দেশ দেন।

পরে সদরের পশ্চিম শিবরামপুর এলাকার ব্লুবেল নামক একটি মিলে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ২ হাজার ৭০০ মে.টন ধান পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অতিরিক্ত মজুদের অভিযোগে ওই মিলকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে মজুতকৃত ধান আগামী সাত দিনের মধ্যেই বাজারে সরবরাহ করার নির্দেশ প্রদান করেন।