সামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

সামেকসাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চিকিৎসা সেবা চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের পক্ষে ডা. কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা।

তিনি জানান, সামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার জন্য সর্বপ্রথম ২০১৪ সালে মানবন্ধন, স্মারকলিপি, রক্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি করে ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থীবৃন্দ। কিন্তু আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থামিয়ে দিলেও তা পূর্ণতা পায়নি। পরবর্তীতে একই দাবিতে ২০১৫ সালেও আন্দোলন করে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ব্যাচের সব ছাত্র-ছাত্রী। একইভাবে ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিয়মিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। প্রতিবার আশ্বাস ও ভয়ভীতি প্রদান করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে জরুরি বিভাগ চালুর আর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়নের পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগ চালুর জন্য কর্ম বিরতিতে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও জরুরি বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোনও আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সামেকের অধ্যক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সামেকের তত্ত্বাবধায়ক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ৭ দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো তাদের নানাভাবে হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

যত দিন পর্যন্ত সামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু না হবে, ততদিন পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে থাকবেন এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এসময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, সাধারণ সম্পাদক ডা. নয়ন চন্দ্র হালদারসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।