এ ঘটনায় সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ছাত্রীরা প্রক্টর বরাবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেকগুলো অভিযোগ ছিল। আমরা বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত আমরা সমাধান করতে পারবো।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর দরকারি জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কুমিল্লা থেকে ক্যাম্পাসে আসি। কিন্তু বাসায় ঢুকতে চাইলে বাসা মালিক মুক্তাদির বকেয়া উসুল করিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর বাসায় ঢুকতে দেয়। এসময় ৪০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের নোটিশ তিনি মানেননি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাবেক চবি শিক্ষক আ.ন.ম. আব্দুল মুক্তাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।
এর আগে, বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়া ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন আব্দুল মুক্তাদির। গত ৬ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষার্থী ওই বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি মিটমাট করে। এছাড়া গত বছর ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় বাসায় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের আশ্রয় দিলেই জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।