নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, কর্মরত অবস্থায় কোনও শ্রমিকদের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, ভারতগামী নৌযানের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, নৌপথে নাব্যতা রক্ষা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধ।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল শাখার যুগ্ম সম্পাদক একিন আলী মাস্টার জানান, ধর্মঘট শুরুর সব প্রস্ততি সম্পন্ন। শ্রমিকরা সন্ধ্যার পর থেকে নৌবন্দর এলাকায় ফেডারেশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। রাত ১২টা ১মিনিট থেকে তারা সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেবেন।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, এর আগেও ধর্মঘটে যাওয়ার পর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সরকার ও নৌযান মালিকরা। পরবর্তীতে তারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আবারও ধর্মঘটে যেতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে বরিশাল নদী বন্দরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন নৌযান শ্রমিকরা। ওই সময় সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে সময় বেধে দেন শ্রমিকরা।