সেবাসংঘ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিলেন এমপি কাজী নাবিল

যশোর সদর উপজেলার উপনির্বাচনে ভোট দিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকাল পাঁচটায়। সকালে ভোটকেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটারদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে দেখা গেছে। এদিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে যশোর শহরের সেবাসংঘ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। 

এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ওইসময় নৌকা মার্কার প্রার্থী নূরজাহান ইসলাম নীরা ও যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলকে সঙ্গে করে কেন্দ্রে আসেন। 

ভোটপ্রদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়েছি।  ভোটকেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী একজন অত্যন্ত যোগ্য ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করেছেন মাঠে ময়দানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের এই নেত্রীকে মূল্যায়ন করেছেন, তাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী আমাদের ভোটাররা তাকে সমর্থন করবেন; জননেত্রীর নৌকা, নূরজাহান ইসলাম নীরার নৌকা, আমাদের সবার মার্কা নৌকা জয়যুক্ত হবে। 

ভোট দিয়ে এসে নৌকা মার্কার প্রার্থী নূরজাহান ইসলাম নীরা এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলও ভোটারদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নৌকা মার্কার বিজয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

সেবাসংঘ স্কুল কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ হাজার ২০০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩হাজার ৪৩ এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫৭জন। 

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেড় ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে সাড়ে তিনশ' পুরুষ ও ২৬০ নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে কেশবপুর সংসদীয় উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন শাহীন চাকলাদার। সেকারণে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে এ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যশোর পৌরসভাসহ পুরো উপজেলায় ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭৫টি কেন্দ্রে।

এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা (নৌকা) ও বিএনপির প্রার্থী নুর উন নবী (ধানের শীষ)।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, ভোটকেন্দ্রে সার্বিক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও ১ হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার কাজ করছেন।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।  নির্বাচনি এলাকায় ২ জন জুডিসিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। ১৫শ’ পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৮টি মোবাইল টিম ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনের মাঠে সারাদিন সার্বক্ষণিক কাজ করবে বলে জানান তিনি।