ঝিনাইদহে পাকা ঘর পেলো ৩৭ গৃহহীন পরিবার

‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় শৈলকুপা ৩৭টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। যার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঘরগুলো উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

ঘর হস্তান্তরকালে ইউএনও সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ৩৭টি ঘর বরাদ্দ আসে। ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। বরাদ্দের তুলনায় ঘরের মান অনেক ভালো হয়েছে ও মানসম্মত সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরে ব্যবহৃত ইট, বালু, সিমেন্ট, টিন, রড, ও কাঠসহ সব নির্মাণ সামগ্রীর মান ভালো ছিল বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, উপকারভোগীরা বসবাস উপযোগী ও টয়লেট সংযুক্ত মানসম্মত পাকা ঘর পেয়ে আনন্দিত।

উপকারভোগী হিতামপুর গ্রামের তানিয়া খাতুন বলেন, ঘর পেয়ে খুব খুশি। স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালোভাবে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছি। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পুরাতন বাখবরবা গ্রামের উপকারভোগী সুজন ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, কুড়েঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতাম। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাথার ওপর পানি পড়তো। বসবাসের অনুপযোগী ঘরে কষ্টে বসবাস করতাম। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না। সরকারের দেওয়া টয়লেট সংযুক্ত পাকা ঘর পেয়ে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালো আছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও সবার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।