সিসি ক্যামেরায় আওতায় আসছে পুরো কুড়িগ্রাম জেলা

কুড়িগ্রাম জেলাকে সিসি টিভির আওতায় আনার কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।

সাধারণ মানুষসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দমন ও অপরাধী শনাক্তের সুবিধার্থে গোটা জেলা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ কয়েকটি উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ সুপারের  (এসপি) নিজস্ব পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধায়নে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলাগুলোর বণিক সমিতির সহায়তায় জেলার বিভিন্ন মার্কেট ও তৎসংলগ্ন মূল সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর, সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজার, কাঁঠালবাড়ী বাজার (জেলায় প্রবেশ পথ কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক), রাজারহাট উপজেলা শহর ( জেলায় প্রবেশের বিকল্প প্রবেশদ্বার), ফুলবাড়ী বাজার এবং কুড়িগ্রাম- চিলমারী সড়কের দুর্গাপুর বাজার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও নাগেশ্বরী উপজেলার নাগেশ^রী বাজার  ( কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়ক) এলাকায় ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই বাকি উপজেলাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর বণিক সমিতি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে পুলিশ বিভাগের আলোচনা হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা জেলার বিভিন্ন এলাকা

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার মালিকদের তাদের প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর অনুরোধ করেছে পুলিশ বিভাগ, যার অধিকাংশই এখন সিসি ক্যামেরার আওতায় চলে এসেছে। এভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গোটা জেলা ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণে চলে আসবে। এর ফলে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হবে বলে পুলিশ প্রশাসন আশা করছে। এরপরও কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে এসব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সহায়তা করবে।

পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলা পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা সাধ্যমতো সহায়তা করছেন। এতে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার হচ্ছে। এছাড়াও কোনও অঘটন ঘটে গেলে তা শনাক্তে এসব ক্যামেরা পুলিশের তদন্ত কাজে সহায়তা করবে।

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা জেলা শহরের একটি এলাকা।

এসপি মহিবুল ইসলাম খান জানান, পর্যায়ক্রমে জেলার সকল থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। জেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধ রহস্য উদ্ঘাটনে এসব ক্যামেরা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

এসপি বলেন, ‘জেলার বণিক সমিতিগুলোর অংশগ্রহণে এই কার্যক্রম সফলতা পাচ্ছে। পুলিশের তদন্ত কাজে সহায়তার পাশাপাশি পুরো জেলাবাসী এর সুফল পাবেন।’