স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, চাকরি হারানোর পর সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তার চিকিৎসা চলছিল। তাদের দাবি, শহীদুন্নবী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করতেন। সে কোনোদিনও পবিত্র কোরান শরীফের অবমাননা করতে পারে না। তারা অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শহীদুন্নবীর রংপুর নগরীর শালবন এলাকার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ঘষ্ঠ। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় মেয়ে এইচএসসি পাস করেছেন। ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত শহীদুন্নবীর বড় বোন হাসনা আখতার লিপি অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের শরীরের হাড়গুলোও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। লাশটা পেলেও একটা সান্ত্বনা ছিল। আমরা মনে করি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার শরীর আগুনে পুড়িয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে যুবককে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ
‘যুবককে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একাধিক মামলা হবে’
পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ছায়া তদন্তে র্যাব