গ্রেফতার বোরহান উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা পূর্বপাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ও অভিযুক্ত বোরহান পূর্ব পরিচিত। শনিবার সন্ধ্যার দিকে করিমগঞ্জের বালিখলা নৌঘাটে দেখা হয় তাদের। এ সময় ওই নারী বোরহানকে জানান তিনি সাগুলি যাবেন। তখন বোরহানও জানায় সেও সাগুলি যাবে। এরপর দুজন একটি ছোট ট্রলারে ওঠে। কিন্তু খাকশ্রী গ্রামের মাঝি স্বপন নৌকাটি সাগুলি না নিয়ে অন্যদিকে চলে যায়। ভয় দেখিয়ে সন্ধ্যার পর নৌকাতেই ওই নারীকে বোরহান ধর্ষণ করে। রাত ৮টার দিকে ফাজিলখালি বাজারের কাছে নেমে পড়ে তারা। রাস্তায় গিয়ে বোরহান একটি ইজিবাইকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই নারীকে। কিন্তু এ সময় তিনি চিৎকার করতে থাকলে লোকজন বোরহানকে আটক করে। রাতে বিষয়টি অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবারকে জানানো হলেও তারা ওই গ্রামে যায়নি। এরপর রবিবার সকালে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকেন। ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ছয়-সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ওই গৃহবধূ অনেক দিন ধরে বাবার বাড়িতেই থাকছেন।
নাহিদ হাসান সুমন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে রবিবার একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত বোরহানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সে পুলিশের কাছে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে।