কৃষকদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দল

bonno hati2

শেরপুরের গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসেছে বন্য হাতির দল। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মশাল জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকাল থেকে দুটি বাচ্চাসহ ১৫টি হাতির একটি দল ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় নেমে আসে। বর্তমানে হাতির দলটি ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা এলাকায় অবস্থান করছে।

বন বিভাগ সূত্র ও পাহাড়িদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ২০-২৫টি হাতির একটি দল ভারত থেকে দলছুট হয়ে শেরপুরের গারো পাহাড়ে চলে আসে। পরে তারা পুরোনো আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। বংশবৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে হাতির সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। হাতির দলটি খাবারের সন্ধানে গারো পাহাড়ের এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত চষে বেড়ায়। পাহাড়িরা কোনও ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারে না। ধান ও কাঁঠাল পাকার সময় হাতির আক্রমণ বেড়ে যায়। হাতির আক্রমণে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।

কাংশা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে কয়েকটি গ্রামে প্রায় প্রতি রাতেই হানা দিচ্ছে বন্য হাতির দল। ক্ষেতের পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। এলাকার কৃষকদের চোখে এখন ঘুম নেই। রাত কাটছে হাতির আতঙ্কে।'

বনবিভাগের তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তা মো. মোখরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির দল হানা দিচ্ছে। এতে এলাকাগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাতির দল মানুষের বসতবাড়িতে হামলা না চালালেও ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করছে। তাওয়াকুচা বিটের সুফল প্রকল্পের প্রায় সাত হাজার চাপালিশ চারা নষ্ট করেছে বন্য হাতির এই দলটি।'

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, 'দুর্ঘটনা এড়াতে হাতির দলকে নিরাপদে পাহাড়ে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'