জাকের হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড় হাতিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি এলাকায় হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন হাতিটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা হাতিটিকে হত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
রবিবার রাতে কোনও এক সময় হাতিটিকে মারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় (চট্টগ্রাম) বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ। মৃত পুরুষ হাতিটির বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে বলে তিনি জানান।
এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় (চট্টগ্রাম) বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হাতিটির ময়নাতদন্ত করার সময় আমরা হাতিটির গায়ে গুলি দেখতে পেয়েছি। পোস্টমোর্টেম করে গুলিটি উদ্ধার করা হয়েছে। হাতিটির শরীরে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ারও চিহ্ন রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, কেউ হাতিটিকে গুলি করার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরেছেন।
দুই বছর আগেও ওই এলাকায় আরও একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগেও ওই এলাকায় একটি হাতি মেরে ফেলা হয়। তাই বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি, এরপর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করবো।