সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন বাজারের দেখা যায়, জমে উঠেছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ শীত বস্ত্রের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ওই সব কাপড়ের দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর মার্কেট, মাধার মোড়, উকিলের মোড়, কালিতলা বাস স্ট্যান্ড ও ডালপট্টি মহল্লায় ও ফুটপাতে ভ্যানগাড়িতে করে বাহারি রঙের এসব শীত বস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বড় বাজারের ফেরিওয়ালা আব্দুল হাকিম জানান, কয়েকদিন ধরেই প্রায় সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি ও মাংকি টুপিসহ সব ধরনের শীত বস্ত্র মিলছে এসব দোকানে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বাজারের ফেরিওয়ালা মোফাচ্ছের আলী জানান, উলের সোয়েটারের দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। জ্যাকেট ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জি ও বাচ্চাদের জামাসেট ৬০-১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
শীতের পোশাক কিনতে আসা পৌর শহরের নিউবাবু পাড়া মহল্লার আলেয়া বেগম বলেন, অনেক খোঁজ করে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সবার জন্য সোয়েটারসহ কয়েকটি শীতের কাপড় কিনেছি। নিজের জন্য একটি উলের সোয়েটার কিনেছি। শীত বেশি পড়ায় দোকানিরা দামও বেশি চাচ্ছে। অনেক দর দামের পর তিনটি ট্রাউজার কিনেছি সাড়ে ৩০০ টাকায়। শাশুড়ির জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি ১২৬ টাকায়। অন্য সময় এগুলো ৬০-৭০ টাকায় পাওয়া যেতো বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কম দামে ভাল কাপড় পাওয়া যায় ফুটপাতে। তাই আমাদের শেষ ভরসা ফুটপাত।
জেলা শহরের বড় বাজারের স্মৃতি গার্মেন্টসের মালিক মো. মকবুল হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। এখন কাটা কাপড়ে চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। মানুষ এখন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে বেশি ভিড় করছেন। উলের সোয়েটার, ট্রাউজার, মাফলার, জ্যাকেটসহ গরম কাপড় কিনতে ক্রেতারা ব্যস্ত বলে জানান তিনি।