ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি প্রবাসীদের

কিশোরগঞ্জকরোনা মহামারিতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আটকে পড়া প্রবাসীরা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। তাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে আটকে পড়া প্রবাসীদের কর্মস্থলে পাঠানোসহ প্রণোদনার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও উপকার তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আটকে পড়া মালয়েশিয়া ফেরতরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ও বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ প্রবাসী বন্ধু মালয়েশিয়া নামে একটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে ছুটিতে এসে আটকে পড়া ওই ছয় জেলার অর্ধশত মালয়েশিয়া ফেরত শ্রমিক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সচিব তফসির খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস চলাকালে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে এসে আটকে পড়েন প্রায় ত্রিশ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ছয় জেলারই রয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার। আর কিশোরগঞ্জের আছে দেড়শ’ জন। তাদের প্রায় ৯৫ ভাগেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ছুটিতে এসে আটকে পড়াদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেওয়াসহ তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এসব ঘোষণার বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা এক অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এ সময় আটকে পড়া মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

প্রবাসীদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে- মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো, চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে তাদের কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা, ছুটিতে এসে মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া। শুধু মালয়েশিয়া নয়, যেসব দেশে প্রবাসীরা কারাগারে রয়েছেন, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়াসহ আটকে পড়াদের নগদ অর্থ সহায়তা ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

সাংবাদ সম্মেলনে নেত্রকোনার ফেরদৌস রহমান, ময়মনসিংহের রুবেল মিয়া, মো. মানুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবু সালাম, কিশোরগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মালয়েশিয়া প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।