এরপর বাংলাদেশে প্রবেশ করলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, বিজিবি-৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীরাও ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রবেশ করলে জেলা পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর তিনি বুড়িমারী স্থলবন্দরের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি ভারতের সঙ্গে স্থাপিত দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সমূহ ঘুরে দেখছি। তারই ধারাবাহিকতায় বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করলাম। ভারত আমাদের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র। দু’দেশের প্রশাসনিকসহ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় থাকলে উভয়ের মতামতে ব্যবসা- বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সীমান্তের সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোতে যাত্রীরা যাতে হয়রানি না হন সেজন্য বাংলাদেশ ও ভারতের ইমিগ্রেশন পয়েন্টে আইসিপি (ইনডিকেটেট চেকপোস্ট) চালুকরণ ও দু’দেশের ইমিগ্রেশনে স্ক্যানিং মেশিন চালু করতে আলোচনা করছে। উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে রেলপথ চালুর বিষয়েও দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রস্তাব তোলা হবে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, ৬১-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোজাম্মেল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল, ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর কাস্টমস্ সুপারিনটেনডেন্ট কপিল বাইন, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত, বুড়িমারী স্থলবন্দর সহকারী কমিশনার সোমেন কান্তি চাকমা, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভুঁঞা, পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্তসহ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীসহ স্টেক হোল্ডাররা।