সংঘাতে জড়িয়ে পড়া একপক্ষের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এমপি পংকজ নাথের অনুসারী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিবাদমান দুটি পক্ষ থাকায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পংকজ নাথ এমপির অনুসারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয চত্বরে। অপরপক্ষ পিটু সিকদার গ্রুপের কর্মসূচি ছিল সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে।
পংকজ নাথ এমপির অনুসারী উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত ঢালী বলেন, নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু অপরপক্ষ নির্ধারিত সময়ের আগে সকাল ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে ভাস্কর্য পাদদেশের দিকে গিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা অপ্রস্তুত থাকায় তাৎক্ষণিক হামলা প্রতিরোধ করতে না পেরে দৌঁড়ে আত্মরক্ষা করি। হামলায় উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন ও শ্রমিক লীগ নেতা মনির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
অপরদিকে হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার বলেন, এই ঘটনার জন্য এমপি পংকজ নাথ অনুসারীরা দায়ী। তারা নির্ধারিত সমাবেশে মিছিল সহকারে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এলাকা অতিক্রমকালে এমপি অনুসারীরা পেছন দিকে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিরোধী পক্ষের প্রতিরোধের মুখে এমপি অনুসারীরা পালিয়ে যায়।
হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পর পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।