পঞ্চগড়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২, আহত ১০

পঞ্চগড়ে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুই ব্যক্তি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার তেঁতুলিয়া ও বোদা উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া বাজারে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শোভা আক্তার (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়। তার বাড়ি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার সফিজুল ইসলামের মেয়ে। শোভা মা আনোয়ারা বেগমের সাথে তেঁতুলিয়া বাজারে যায়। বাজারে রাস্তা পার হওয়ার সময় পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দেয়। সড়কে ছিটকে পড়লে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, তেতুঁলিয়া উপজেলায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় আব্দুল খালেক (৬৫) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ি এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক ওই এলাকার মৃত শাহাজউদ্দীনের ছেলে। 

শালবাহানহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন জানান, আব্দুল খালেক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাজার খরচের উদ্দেশ্যে শালবাহানহাট বাজারে আসছিল। এসময় ট্রাক্টরটি সাইকেল আরোহী আব্দুল খালেককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সকালে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম নগর এলাকায় ট্রাক ও দূরপাল্লার একতা এন্টারপ্রাইজের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস উল্টে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের চালকসহ বাসের ১০ জন যাত্রী আহত হয়। আহতরা হলেন ট্রাকচালক বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার সাইফুল ইসলাম (৪২), ট্রাকের সহকারী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার রাজু (৩২), বাসের যাত্রী সাথী আক্তার (২২),  হারুন অর রহিদ (৩২), রুহানী (৫), মেহেরুন আক্তার (৪০) ও পলী আক্তার (১৯)। আহতদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায়। পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।