এএসপির বিরুদ্ধে লালপুরে জমি দখলের অভিযোগ!




জমি দখলের অভিযোগঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত এক এএসপির বিরুদ্ধে নাটোরের লালপুরে তিন একর ১৯ শতক জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল ও বাড়িভিটাসহ অপর দুই একর ২০ শতক জায়গা দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে অভিযুক্ত এএসপির দাবি, এটা তাদের বাপ-চাচাদের পৈত্রিক জমি। তিনি কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর শহরের শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম এলাকায় এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এএসপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন লালপুর উপজেলার এলাহী, আব্দুল লতিফ ও এমএ ওয়াসিম মন্ডল।

লিখিত বক্তব্যে এমএ ওয়াসিম অভিযোগ করেন, তার পিতা গোলাপ ও চাচা রইজ উদ্দীন মন্ডল উপজেলার জোতদৈবকী মৌজায় ৬ দাগে তিন একর ১৯ শতক, বুধপাড়া মৌজায় দুই দাগে এক একর ৬৩ শতক ও বসতভিটা হিসেবে ওই এএসপির দাদা গংদের ৫৭ শতক জমি কিনে ভোগ-দখল করতে থাকেন। দীর্ঘ ৫৫-৫৬ বছর খাজনা পরিশোধ করে বসবাস ও ভোগ দখলের পর সম্প্রতি ওই এএসপি তার স্বজনদের মাধ্যমে নিজ প্রভাব খাটিয়ে তাদের জোতদৈবকী মৌজার তিন একর ১৯ শতক জায়গা দখল করেন।

এ বিষয়ে তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে থানার মাধ্যমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপরও অভিযুক্ত এএসপি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমিতে গত ৩ ডিসেম্বর কলাগাছ রোপন করে এবং তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে অপর বুধপাড়া মৌজার এক একর ৬৩ শতক ও ৫৭ শতক বসতভিটা দখলেরও পাঁয়তারা করছেন।

এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী, সরকার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আজাদ সরকারের ছেলে অভিযুক্ত এএসপি ওলিউল আহম্মেদ রাজিব বলেন, আমার দাদা-চাচাদের সঙ্গে পৈত্রিক জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব এটি। আমি কোনাভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।