পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়ে দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ

পাখিদের অবাধ বিচরণে মাটির কলস ও বাঁশের খুপড়ি বেঁধে দেওয়া হচ্ছেগাছের ডালে ডালে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে পাখিদের বাসা তৈরির উপকরণ। পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রতিটি গাছের ডালে নীড় বেঁধে দিচ্ছেন জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ লাইনের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখির বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ এ স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা। জেলার পাঁচটি থানা, একটি ফাঁড়ি ও ৩০টি ক্যাম্প ও ৩৯টি স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণে পাঁচ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুপড়ি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বাস করতে পারবে ২০-২৫ হাজার পাখি।

১১জেলা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দি ছিল তখন তিনি প্রতিবেলায় পাখিদের খাবার দিতেন। এখনও তিনি পাখিদের সেই খাবার সরবরাহ করেন।  এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়তে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়েছে।

বাসা বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ এখন অনেক মানবিক। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও পুলিশের অংশগ্রহণ আশানুরূপ। সেই কাজের অংশ হিসেবে পশুপাখিদের জন্য এ উদ্যোগ। পুলিশ শুধু এখন জনতার নয়, প্রাণীদেরও।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দীন ও মাহফুজ আহমেদ।