মাইক্রোবাস চালককে গলা কেটে হত্যা

নিহত মাইক্রোবাস চালক মজনু হোসেনচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মাইক্রোবাস চালক মজনু হোসেনকে (৩০) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাজীগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মজনু হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড়ের আনোয়ার হোসেন মিজির বাসার দ্বিতীয় তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে তার ভাই মন্টু রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে চাঁদপুর পিবিআই ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

বাড়ির মালিকের মেয়ে উম্মে সাবরিনা বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মন্টু চিৎকার দিয়ে তার ভাই খুন হয়েছে বলে জানান। পরে তার বোন হীরা আক্তার বাড়ির গেটের তালা খুলে দেন। প্রতিদিন মজনুর পরিবার বাড়ির গেটের তালা বন্ধ করতো।’

মজনুর ভাই প্রবাসী মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, ‘রাতে মজনু ভাত খায়নি। শুধু একটু দুধ খেয়েছে। তিতা বলে বেশি খায়নি। পরে মা রূপবান বেগম ও সে দুধ খেয়েছে। রাত ১১টার দিকে মন্টু ও তার স্ত্রী শান্তা বেগম ওই বাসায় ছিল। তারা মিলে চা খেয়েছি। সকালে মন্টু ভাইয়ের চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে। ঘুম ভাঙলে দেখি তার পা বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পায়ের বাঁধন খুলে দেন।’

হাজীগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সোমবার রাতে পরিবারের সদস্যরা মিলে যে দুধ ও চা খেয়েছে, তা জব্দ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে বাসায় ডাকাতি হওয়ার আলামত পাওয়া যায়নি। খুনের সঙ্গে পরিবারের কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. আলমগীর হোসেন রনি ও পিবিআই কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক।