স্থানীয়রা জানান, কৃষি ব্যাংক বাসাইল শাখার টপ সিকিউরিটি সুলতান আহমেদ মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ঝাড়ুর মধ্যে জাতীয় পতাকা বেঁধে ভবনটির ছাদে উত্তোলন করে। এরপর বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। মুহূর্তের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ব্যাংকের সামনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেনকে জানানো হয়। তবে তিনি তাতে কোনও কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে দুপুরে বাসাইল পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিয়ার রহমান গাউস ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম ওই পতাকা নামিয়ে ফেলেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক কর্মচারী ঝাড়ুতে পতাকা বেঁধে উত্তোলন করে। পরে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। একপর্যায়ে আমরা নিজেরাই গিয়ে পতাকাটি নামিয়ে ফেলি। এটি একটি অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। তারা জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছে। আমরা এমন কাজের যথাযথ বিচার দাবি করছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বলেন, কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঝাড়ুর মধ্যে জাতীয় পতাকা বেঁধে এলোমেলো করে রেখে দেয়। পরে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। একপর্যায়ে পতাকাটি পুলিশের উপস্থিতিতে খুলে ফেলা হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তেভেজা এই পতাকার এমন অপমান হলে ভবিষ্যতে পতাকা, স্বাধীনতার কোনও মূল্য থাকবে না। এ ঘটনায় কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকের ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেনের ফোনে বারবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।