হুজি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে সদস্যরা

গ্রেফতার করা দুই জনহরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি, বি) রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারসহ দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ি বাজারের পূর্ব দিকে মাছের আড়তের পাশে ঢাকা-বাইপাস মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একটি বিশেষ দল এ অভিযান চালায়। তাদের জিজ্ঞাাবাদের পর পুলিশ জানায়, গ্রেফতার এই দুই জন কাশিমপুর কারাগারে থাকা হুজি নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে জুলফিকারের নির্দেশনায় সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ করে যাচ্ছিলেন। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার দুই জন হলেন- হরকাতুল জিহাদের রাজশাহী-খুলনার আঞ্চলিক কমান্ডার মুফতি ইব্রাহিম খলিল (৪১) এবং নব্য সদস্য ও সমন্বয়কারী আবদুল আজিজ ওরফে নোমান (২৩)। ইব্রাহিম খলিল যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর নোমানের বাড়ি নোয়াখালির কোম্পানীগঞ্জ থানার মোশারফ মঞ্জিল গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হালিম।আরএমপি’র সংবাদ সম্মেলন

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, গ্রেফতার এই দুই জন কাশিমপুর কারাগারে থাকা হুজি নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে জুলফিকারের নির্দেশনায় সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ করে যাচ্ছিলেন। আতিকুল্ললাহ হুজি নেতা মুফতি হান্নানের অন্যতম সহযোগী।

ইব্রাহিম খলিল ও নোমানের কাছে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই পাওয়া গেছে। এখান থেকে অনুমান করা যায়, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তারা কাজ করছিলেন। অটোরিকশায় যাওয়ার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহায়তায় আরএমপির একটি বিশেষ টিম খড়খড়ি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে ইব্রাহিম খলিল ও নোমানকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদের সঙ্গে আরও চার জন ছিলেন। তারা পালিয়েছেন। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক আরও জানান, দুবাই থেকে আসা টাকায় হুজির সদস্যরা তাদের সংগঠনের কারাবন্দি সদস্যদের জামিন করার চেষ্টা করছেন। এদের ব্যাপারে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি আছে।