ইভিএম ভোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভোটারদের

দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নলডাঙ্গা পৌর এলাকার ভোটাররা। কেউ কেউ এই আধুনিক প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে এখন থেকেই অতি উৎসাহে অপেক্ষমাণ। কেউ বা ডিজিটাল ভোট কারচুপি নিয়ে রয়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছলাম বলেছেন, ভোটাররা যাতে নির্দিধায় নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেজন্য তারা আয়োজন করেছেন মক ভোটিংয়ের। আগামী ১৪ জানুয়ারি নিজ কেন্দ্রে ভোটাররা অংশ নেবেন এই মক ভোটিংয়ে।

জেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্বরত আনোয়ার হোসেন জানান, দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে গোপালপুর ও গুরুদাসপুর উপজেলায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। তবে নলডাঙ্গা পৌরসভায় ব্যাবহার হবে ইভিএম।

উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ইভিএমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে না৷ উপরন্তু আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট দিতে অভ্যস্ত হবেন পৌরবাসী।

পৌর এলাকার বাসিন্দা রেজা জানান, ইভিএম নিয়ে নানা কথা জানা যায়। অনেকে ইচ্ছা করলে ভোটারকে দাঁড় করিয়ে রেখে নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে বাটন চেপে ভোট নিতে পারেন-এমন কথা শোনা যায়। তাই ইভিএম এ সুষ্ঠু ভোট দেওয়া নিয়ে সন্দিহান তিনি।

নৌকার মেয়রপ্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির ইভিএমকে স্বাগত জানালেও অপর প্রার্থী বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেব আলী  সঠিক ভোট প্রয়োগে ডিজিটাল কারচুপির আশঙ্কা করছেন। 

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছলাম জানান, ১২-১৩ তারিখে নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ৯ জন প্রিজাইডিং, ৩০ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৬০ জন পোলিং এজেন্টকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারা আগামী ১৪ জানুয়ারী নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোটারদের সরাসরি অংশগ্রহণে মক ভোটিং করাবেন।