ভাসানচরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভালো সাড়া পাচ্ছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ভাসানচর কাজ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভালো সাড়া পাচ্ছি। রোহিঙ্গারাও ভাসানচরে যেতে আগ্রহী। আমরা এত অমানবিক নই যে রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলবো। অন্য কেউ তো তাদের নিতে আসেনি, আমরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি।’

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত মারী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরেও একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। আমরা আশাবাদী তারা যাবে। তারা না গেলে আমাদের বিপদ। অনেক দিন ধরে এতগুলো মানুষ থাকলে নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে। এদের মধ্যে যদি সন্ত্রাসী তৈরি হয় আমাদের জন্যও ক্ষতিকর, মিয়ানমারের জন্যও ক্ষতিকর। এটি ভারত, চীন ও জাপানও বোঝে।’রাঙাাটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন

আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ১৬৪২ জনকে ভাসানচরে নিয়ে গেছি। তবে তা অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওখানে যেতে চায়নি।  তারা ভাসানচরকে ভাসমান বলে ইস্যু করেছে। তবে আমরা মঙ্গল চাই বলে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা অন্য রোহিঙ্গাদের যেতে উৎসাহিত করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুতে ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনীহা থাকলেও এখন যারা গেছে তারা অন্যদের যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক অনেক এজেন্সির সাপোর্ট পাচ্ছি। যে কেউ এসে দেখে যেতে পারবে। আপাতত ভাসানচরের ঘরবাড়িতে রোহিঙ্গাদের রাখা হবে। তারা চলে গেলে সেখানে নদী ভাঙনের কারণে আশ্রয়হীনদের রাখা হবে।’রাঙাাটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার মো. ইফতেকুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নিজামি, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন।

পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে সারা দেশের ১০০ অংশগ্রহণকারী পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিংসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি থেকে ২০ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ১৫ জন, বান্দরবার থেকে ১৫ অংশ নিয়েছেন। ১০০ জন অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৩ জন নারী আছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর অ্যাডভেঞ্চার উৎসব সম্পন্ন হবে।