মুন্সীগঞ্জের দুই পৌরসভায় নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ

মুন্সীগঞ্জ জেলার দুইটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি মিরকাদিম পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই দুই পৌরসভায় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিভক্তি যেকোনও মুহূর্তে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান (নারিকেল গাছ প্রতীক) জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে তার প্রতিপক্ষ। এমনকি বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও তাকে দেওয়া হয়েছে বলে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এদিকে, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার আরেক মেয়র প্রার্থী এম এ কাদের মোল্লার (মোবাইল প্রতীক) নির্বাচনে ব্যবহৃত মাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক পুলিশ পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মাইক উদ্ধার করেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জাকির হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন সাগরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন আহত হন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানা পুলিশের ঝামেলা এড়াতে আহতদের  চিকিৎসার জন্য  ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, এতদিন শান্ত পরিবেশ বিরাজ করলেও গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মিরকাদিম পৌরসভার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে আবদুস ছালামের নাম ঘোষণার পর ওই এলাকায় চরম উত্তেজমা বিরাজ করে। আব্দুস ছালামের সমর্থকরা নৌকা প্রতীক পাওয়ার খবরে আনন্দ মিছিল করে। অন্যদিকে, বর্তমান মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় তার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নির্বাচন নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে যা অস্বীকার করার উপায় নেই। সদরের পাঁচঘরিয়াকান্দি এলাকায় তেমন কেউ আহত হয়নি বলে জেনেছি। তবে, পুলিশের ঝামেলা এড়াতে আহতরা ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়। কোন পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে,  মিরকাদিমের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে। আশাকরি, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।