‘২০১২ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম পদ ৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে’

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমি এখন এই যে পদ পেয়েছি তা ২০১২ সালে পাঁচ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যাংকের ডিরেক্টর, শিল্পপতি এরা প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়েছেন। কিন্তু আমার এই পদ পেতে পাঁচ টাকাও খরচ হয়নি। বিনাপয়সায় এই পদ পেয়েছি। তবে আমার পরিশ্রম ছিল। আমি এক নম্বর জায়গায় সমস্ত কাগজপত্র দিয়েছি। এরপর তদন্ত হয়েছে। আমার অতীত কর্মকাণ্ড যাচাই বাছাই হয়েছে। এরপর আমি এই পদ পেয়েছি।’

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাতে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। তাজউদ্দিন আহমেদের বাড়ি মঠবাড়িয়া শহরের উত্তর মিঠাখালী এলাকায়। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি মঠবাড়িয়ায় আসেন তাজউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিল তিন বছর পরপর হয়ে যায়। আর যুবলীগের সম্মেলন হয় ৮-৯ বছর পর। তবে লেগে থাকতে হয়। আমি মঠবাড়িয়ায় স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেখান থেকে যুবলীগের রাজনীতিতে। আমি মঠবাড়িয়ার রাস্তায় মিছিল-মিটিংসহ ঢাকার রাজপথে মিছিল-মিটিং করে এ পর্যন্ত এসেছি। আমি হঠাৎ করে এ পর্যন্ত আসিনি। আমি যুবলীগের বিভিন্ন পদে তিন তিন বার। এর আগে আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে দুই বার ছিলাম।‘

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রয়াত জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের জন্ম এই মঠবাড়িয়ায়। এখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আপনারা ভালো জানেন। কী তার চিন্তাচেতনা ছিল, আর আজ মঠবাড়িয়ায় কী হচ্ছে! মাদকে ছেয়ে গেছে এই মঠবাড়িয়া। ঢাকায় বসে যখন কোনও মন্ত্রীর কাছে যাই তখন প্রশ্ন করেন আপনাদের এলাকায় এত মাদক কেন? এত খুনোখুনি কেন? মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আপনাদের সোচ্চার হতে হবে। মঠবাড়িয়ার রাজনীতির সুষ্ঠধারা ফিরিয়ে আনতে আপনারাও ভূমিকা রাখবেন এ দাবি আপনাদের কাছে। রাজনীতির খারাপ উদাহরণ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ’মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে রাজনীতি করতে হবে। খুনখারাবি করে মানুষকে পিটিয়ে রাজনীতি, এটা সাময়িক করা যায়। মঠবাড়িয়ায় আমরা যারা শান্তিপ্রিয় তারা থাকবো। মঠবাড়িয়ায় যারা সন্ত্রাস করে তারা থাকবে না। তারা পালিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে, বলপ্রয়োগ করে কেউ কিছু আদায় করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।‘