স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

বগুড়ার কাহালুতে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ উম্মে কুলসুম রুমাকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে, গ্রেফতারের পর হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে তার সাজা কার্যকর করা হবে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন।

বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, কাহালু উপজেলার ভিটিসোনাই গ্রামের আলহাজ খোরশেদ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার আবদুল গফুরের মেয়ে উম্মে কুলসুম রুমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে দেলোয়ার অর্ধ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রুমার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গত ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সকালে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুমাকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে কাহালু থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটি হত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত রুমার বাবা আবদুল গফুর থানায় জামাই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ একমাত্র আসামি দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম ১৯৯৮ সালের ১৯ জুলাই আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দেলোয়ার ২০০০ সালে জামিন পেয়ে আত্মগোপন করে।

গ্রেফতারের পর উচ্চ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামির দণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। আদেশে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে রশিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পলাতক আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন মামলা পরিচালনা করেন। তিনি জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।