ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে হত্যা: মৃত্যুদণ্ড ১, যাবজ্জীবন ১

জামালপুরে ইউপি সদস্যসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক জনাকীর্ণ আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাৎ জাহান ঝুনু এই রায় দেন।

মামলায় টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের আব্দুস সামাদ মেম্বারের ছেলে আসামি বেলালকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া আসামি মো. হুরমুজ আলীকে (৩৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সে ভুয়াপুরের চাঁন মাহামুদ মণ্ডলের ছেলে। বাকি ১৩ আসমিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পি পি মো. আবুল কাশেম তারা জানান, ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকালে সরিষাবাড়ী উপজেলায় পিংনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নলসন্ধ্যা গ্রামের বাসিন্দা মো. ফজলুর রহমান ওরফে ফজল মেম্বার (৫০) এবং তার সঙ্গী ইউসুফ (৫২) যমুনা নদীর বাসুরিয়া খেয়াঘাট থেকে কোরবান আলী তালুকদারের (৬০) ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে বিকাল বাড়ি ফিরছিলেন। চর নলসন্ধ্যা খেয়াঘাটের কাছে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে জলদস্যু আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে তাদের ওপর হামলা ও মারধর করে। একপর্যায়ে নৌকাসহ অপহরণ করে যমুনা নদীর গভীরে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। ঘটনার তিন দিন পরে ইউসুফ ও পাঁচ দিন পরে ফজলুর রহমানের মৃতদেহ যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হলেও কোরবান আলী নিখোঁজ রয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহত ফজলুর রহমান ওরফে ফজল মেম্বারের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন (৪৫) বাদী হয়ে আব্দুল হাইকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর সরিষাবাড়ী থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়। এরপর মামলার সব আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।