৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

রংপুর নগরীর আর কে রোডে ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাক ও ট্যাংক লরি আটকে কাগজ দেখার নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগে শ্রমিকরা মহাসড়কে যান ফেলে রেখে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে তিন ঘণ্টা ব্যাপী রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করা হলে মহাসড়কের দু পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, রংপুরে পুলিশ যেখানে-সেখানে ট্রাক ট্যাংক লরি আটক করে কাগজপত্র দেখার নামে ড্রাইভার হেলপারদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা হয়রানি করে। টাকা না নিলে ঠুনকো অভিযোগ এনে মামলা দেয়। সোমবার সকালে বালু বোঝাই এক ট্রাককে আর কে রোড এলাকায় পুলিশ আটকে কাগজ দেখতে চায়। কাগজের ফটোকপি দেখালে মূল কাগজ দেখতে চায় তারা। পরে মূল কাগজ দেখানোর পর বালুগুলো চোরাই, কোথা থেকে আনা হয়েছে ইত্যাদি নানান প্রশ্ন করে টাকা দাবি করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শ্রমিকরা চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে তাদের ট্রাক ও ট্যাংকলরিগুলো মহাসড়কের মধ্যে ফেলে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মানিক অভিযোগ করেন, মেট্রোপলিটান থানা পুলিশ ঠুনকো অভিযোগ এনে কাগজপত্র দেখার নামে ড্রাইভার-হেলপারদের হয়রানি করে আসছে। তাদের ঘুষ বাণিজ্যে শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে মহাসড়কে তাদের যানবাহন ফেলে রেখে অবরোধ করছে।

খবর পেয়ে মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফরহাদ, কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ ও ট্রাফিক পুলিশের টিআই দেলোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।

এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।