চিকিৎসক না হয়েও ব্যবস্থাপত্র দিতো সে!

চিকিৎসক না হয়েও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে নিয়মিত চিকিৎসা দিতো রোগীদের। অবশেষে র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছে ভুয়া এমবিবিএস মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে দুই বছরের জেলের সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে দুই লাখ টাকা। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজিস্ট আলমগীর কবিরও (২৬) তার মতোই চিকিৎসকের বদলে নিজের স্বাক্ষরেই দিতো রিপোর্ট। তাকেও গুণতে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালপুর উপজেলার গোসাইপুরে এই ঘটনা ঘটে। নাটোর র‌্যাব অফিসের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মাসুদ রানা রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এএসপি মাসুদ রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোসাইপুর গ্রামের ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় নাটোর র‌্যাব। এ সময় দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক একই উপজেলার কামারহাটি এলাকার তাছেন উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জেনারেল লাইনে পড়ুয়া। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সে তিন মাস, ছয় মাসের বিভিন্ন কোর্স করে অনুমোদন ছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে ডাক্তার সেজে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিস্ট বাগাতিপাড়া উপজেলার সাইলকোনা এলাকার করিমের ছেলে আলমগীর কবির বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের সই ছাড়াই রোগীদের দিচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার তাদের আটকের পর মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা  এবং  আলমগীর কবিরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।