আ. লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে আহত ১৫

পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের সঙ্গে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসবেক লীগের আহ্বায়ক শেখ সিহাব উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে এ সংর্ঘষ হয়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্য বিরোধ চলছিল।

হামলায় গুরুতর আহত সিহাব উদ্দিন গ্রুপের শেখ শহিদ জানান, রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ সিহাব উদ্দিন কদমতলা বাজার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হয়ে বাজার ব্রিজের কাছে গেলে কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ খানের নেতৃত্বে দা, লোহার রড ও চাইনজি কুড়াল নিয়ে ১০/১২ জনের একটি দল সিহাবের ওপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আমরাও সেখানে পৌঁছালে চেয়ারম্যান নিজে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করে।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র্কতব্যরত চিকিৎসক এএইচএম মোস্তফা কায়সার জানান, শহিদ শেখ ও শাহ আলম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলার বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ খান তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত কয়েকদিন ধরে আসন্ন ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিহাব শেখের  লোকজন তার লোকজনকে মারধরসহ বিভিন্নিভাবে হয়রানি করে আসছিল। শুক্রবার রাতে তার (চেয়ারম্যান) লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়ানো থাকলে সিহাব শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

চেয়ারম্যান হানিফ খান এর স্ত্রী নাসিমা আক্তার অভিযোগ করেন, হঠাৎ করে ধারালো অস্ত্র্র ও লোহার পাইপ নিয়ে সিহাবের লোকজন তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এসময় তার সমর্থকেরা বাধা দিলে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

অন্যদিকে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেন অভিযোগ করেন,তার চাচা সিহাবের উপর অতর্কিতভাবে হানিফ খানের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত।