করোনা বদলে দিয়েছে চা বিক্রির ধরন

মোবাইলে কল করলেই চা হাজির। এভাবেই মোটরবাইকে ঘুরে শহরের মানুষের কাছে চা নিয়ে হাজির হন মাগুরার কবির হোসেন। মোটর বাইকেই তার চয়ের দোকান। করোনার মধ্যে শহরের সব চায়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় কবিরের চায়ের দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে মোটরবাইকে করে শহরের অলি-গলিতে চা বিক্রি  শুরু করেন তিনি।

কবিরের চায়ের চাহিদাও খুব। দিনে চার থেকে পাঁচশত টাকা আয় করেন কবির হোসেন। ৬ সদস্যের পরিবার চলে এই চা বিক্রির টাকায়।

মোটরসাইকেলে করে চা বিক্রি করছেন কবির

কবির হোসেন বলেন, ‘যারা চা খায় তাদের বেশির ভাগ মানুষ দোকানি ও ব্যবসায়ী। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান ফেলে চা খেতে আসতে পারে না। আমাকে ফোন করলে আমি চা দিয়ে আসি। এতে তাদের সময় বেঁচে যায়। আমার দিনে ৪০০-৫০০ টাকায় আয় হয়। তবে এভাবে চা বিক্রি করতে আমার ভালো লাগে।’

মাগুরা নতুন বাজার এলাকার  ব্যবসায়ী বিধান সাহা বলেন,  ‘নিজস্ব ব্যবসা আছে। প্রতিষ্ঠান ফেলে চা খেতে যাওয়ার সময় হয় না।  ফোন করলে কবির ভাই চা দিয়ে যায়। এতে আমার সময় বেঁচে যায়। তাছাড়া কবির ভায়ের চায়ের মানটাও ভালো।’

মোটরসাইকেলে করে চা বিক্রি করছেন কবির

কেশব মোড়ের বাসিন্দা রুবাইয়েত ফিরোজ  বলেন, ‘মোটরসাইকে করে চা বিক্রি করা এটা মাগুরা শহরের একটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। শহরের যেখানেই থাকি, ফোন দিলে কবির চা নিয়ে হাজির হয়। তার এক কাপ চায়ের দাম অন্য দোকানের মতোই ৫ টাকা।’

মাগুরা ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ সাহা বলেন, কবির হোসেন একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি মোটরবাইকে করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। মাগুরায়  এই প্রথম কেউ মোটরবাইকে করে চা বিক্রি করছেন। তার এমন উদ্যেগে সাধুবাদ জানাই।’