৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ভুয়া ঠিকাদার বানিয়ে ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উমর ফারুক নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সচিবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের নারী সদস্য স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপির সচিব। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয় উপজেলা বিজিসিসি সভায়। এর মধ্যে অসহায় পরিবারের মাঝে নলকূপ স্থাপন বাবদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং স্থানীয় আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট বাবদ এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০ টাকা।

অভিযোগকারী সংরক্ষিত নারী সদস্য নাজমা বেগম জানান, ইউপি সচিব উমর ফারুকের কথামতো আমি একটি দোকান থেকে ৪৭টি নলকূপ ক্রয় করি এবং দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করি। অপরদিকে আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটসহ দুটি প্রকল্পে মোট ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০ টাকা ব্যয় করে প্রকল্প দুটির কাজটি সম্পন্ন করি। কাজ চলমান অবস্থায় তিনি আমাকে ৫০ হাজার চেক এবং নলকূপ বিতরণের সময় এক লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে এলজিএসপির অর্থ হাফিজুর রহমানের নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাহমুদপুর বাজার শাখার হিসাব নং ০০২২০০০৮৫৬ ব্যবহার করে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৪৬২ টাকা উত্তোলন করে ইউপি সচিব উমর ফারুক নিজের কাছে রাখেন। বাকি ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা সচিবের কাছে চাইলে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করে বলেন ঠিকাদারের বরাদ্দ টাকা ঠিকাদার উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ইউপি সচিব উমর ফারুকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’