ছয় মাস নৌকা ছয় মাস সাঁকো, ব্রিজ আর কবে?

বর্ষার ছয় মাস নৌকা। শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো। এভাবেই চলছে ৩০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের চলাচল। টাঙ্গাইলের সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের বংশাই নদীর বরইতলা ঘাটে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে রয়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।বরইতলা ঘাটে খেয়া নৌকায় পারাপার

বাসাইল ও সখীপুর নিয়ে টাঙ্গাইল-৮ সংসদীয় এলাকা। সখীপুর উপজেলার পশ্চিমাংশে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন এবং বাসাইল উপজেলার পূর্বাংশে কাউলজানী ইউনিয়নের গিলাবাড়ী-সুন্যা এলাকায় বংশাই শাখা নদী দ্বারা বিভক্ত। এ দুটি উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে নিবিড় বন্ধন থাকলেও বরইতলা ঘাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদী দুটি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন করে রেখেছে। বছরের দুটি মৌসুমেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এই নদীটি খেয়া নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। অথবা উঠতে হচ্ছে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোতে। বরইতলা ঘাটের আশপাশে দুইটি উপজেলার দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদ্রাসা ও পাঁচটি কিন্ডারগার্টেন এবং পাঁচটি সাপ্তাহিক হাটবাজার রয়েছে।

খেয়া নৌকা পারাপারের সময় কথা হয় স্থানীয় হালিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কত সাংবাদিক ছবি তুললো। ইঞ্জিনিয়ার মাপ-জোক করলো। কিন্তু ব্রিজ হইলো না। জীবনের শুরু থেকেই এই খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছি। আর কবে ব্রিজ হবে?’বরইতলা ঘাটে খেয়া নৌকায় পারাপার

খেয়া ঘাটের নৌকার মাঝি মহাদেব দাস বলেন, ‘আমার পূর্ব পুরুষ থেকে এই নদীতে খেয়া নৌকায় মানুষ পারাপার করে আসছে। সেই সূত্র ধরে আমিও খেয়া নৌকা চালাচ্ছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ যাতাযাত করে। মাঝেই মধ্যেই নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটে। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। দুইটি উপজেলার মানুষের চলাচল। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’

সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী এসএম হাসান ইবনে মিজান বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজের নতুন ডিপিপি দ্বিতীয় পর্ব প্রকল্পের আওতায় বরইতলা ঘাটের ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’