ডিএসবি সদস্যকে মারপিট করে ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে জুয়াড়িরা

বগুড়ার ধুনটে জুয়াড়িরা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য সেলিম রেজাকে মারপিট করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ধুনটের বেড়েরবাড়ি ও শাজাহানপুর উপজেলার শিমুলতলা সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। সেলিম রেজা তার ওপর হামলার ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেছেন। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ডিএসবি সদস্য তাদের না জানিয়ে একা যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার দুজন হলো– ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে জেল হক ও একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ।

অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জাকির হোসেন, আবদুল মালেক, আবদুর রাজ্জাক, বাবু, হিটলু ও আলিমুদ্দিনের নেতৃত্বে জুয়ার আসর বসে। সেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার জুয়া চলে। গত দু’মাস আগে ধুনট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার জুয়া শুরু করে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসবি সদস্য সেলিম রেজা একাই জুয়া পয়েন্টে যান। তিনি মোবাইল ফোনে জুয়া খেলার স্টিল ও ভিডিও ছবি ধারণ করেন। জুয়াড়িরা টের পেয়ে ক্ষিপ্ত হন এবং ফোন কেড়ে নিয়ে ডিএসবি সদস্য সেলিম রেজাকে মারপিট করেন। তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।

সেলিম রেজা জানান, তিনি গোপনে খবর পেয়ে জুয়াড়িদের তথ্য নিতে গেলে তারা অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তিনি এ ব্যাপারে জড়িত জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্বৃত্তরা জুয়ার আসর বসিয়ে আসছে। কয়েকবার অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে চালান দেওয়া হয়েছিল। তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার জুয়ার আসর পরিচালনা করছে। ডিএসবি সদস্য তাকে অবহিত না করেই সেখানে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।