আশাশুনিতে খাবার, পানি, স্যানিটেশন ও বিদ্যুতের সমস্যা চরমে

সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরে ভেঙে যাওয়া রিং বাঁধ আটকানো সম্ভব হলেও পাউবোর মূল বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্ভব হয়নি। ফলে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটার সঙ্গে লড়াই করে চলতে হচ্ছে রিং বাঁধের বাইরে থাকা ৪০-৪৫ পরিবার। তাছাড়া প্লাবিত এলাকায় পানিবন্ধি মানুষের সুপেয় পানি, খাদ্য সংকট, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ও বসবাসের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। উপজেলার আরও ১০/১২ পয়েন্টে বেড়িবাঁধের অবস্থা শোচনাীয় হয়ে পড়েছে। 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার ও এসডিই মাজহারুল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে মূল বাঁধে দু’টি পয়েন্টে ২১০ ফুট ভাঙন স্থানে ক্লোজারের বেডের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এলাকাটি প্লাবিত হওয়ায় সাড়ে ৩০০ পরিবারের মানুষ এখন সুপেয় পানি, খাদ্য সংকট, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ও বসবাসের সমস্যায় রয়েছে। প্লাবিত এলাকার মানুষের কাজ-কর্ম না থাকা, মাছের ঘের ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন এ এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষ। দ্বিতীয় দফায় ওই এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন শুকনা খাবার, চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়নি। সরকারিভাবে নামকাওয়াস্তে পরিবার প্রতি মাত্র ৭ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও এনজিও লিডার্সের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ করলেও প্রত্যন্ত প্লাবন কবলিত এলাকার অনেকের কাছে পানি পৌছাচ্ছে না বলে অনেক ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।  

উপজেলার প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, শ্রীউলা ও বড়দল ইউনিয়নে ১৫-১৭ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় এসব বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি উপচে ভেতরে প্রবেশ করার মতো চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। হরিষখালী ও কুড়িকাহুনিয়া বাঁধের অবস্থা এখনও খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। আগামী গোনে জোয়ারের সময় বাঁধটি উপচে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এসব স্থানে পুনরায় কাজ করা না হলে আগামী অমাবশ্যাসহ পরবর্তীতে গোনে এসব বাঁধ উপচে ও ভেঙে পুনরায় গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। বাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্নের পাশাপাশি অসহায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধান করে এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে তড়িত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।