দুর্বৃত্তের গুলিতে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নিহত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. মফিজ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার পশ্চিম সরফভাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গঞ্জম আলী সরকার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাছ থেকে গুলি করে তাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। মফিজকে সামনে থেকে দুই রাউন্ড গুলি করা হয়। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার অথবা পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনাস্থলে দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, ওই দুটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’

নিহত মফিজ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মফিজের নামে থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, বিস্ফোরকসহ মোট ছয়টি মামলা আছে। পাঁচ বছর জেল খেটে বছর দুয়েক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছিল সে।’

নিহত মফিজ সরফভাটা ২ নম্বর ওয়ার্ডের গঞ্জম আলী সরকার বাড়ির মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ মফিজের বড় ভাই ইদ্রিসকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ওসমান ও তোফায়েল বাহিনীকে দোষারোপ করা হয়। ওই ঘটনায় ওসমানের পরিবারের সঙ্গে মফিজের পরিবারের শত্রুতা চলে আসছিল।

ওই শত্রুতার জের ধরেই মফিজকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, মফিজের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওসমানের পরিবারের শত্রুতা চলে আসছিল। শত্রুতার জের ধরে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ নিহত মফিজের বড় ভাই ইদ্রিসকে হত্যা করে ওসমান বাহিনী। এরপর ভাই হত্যার বিচার বদলা নিতে ওসমানের বড় ভাই উকিল আহমদকে কুপিয়ে হত্যা করে মফিজ বাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। গত বছর নিজ বাহিনীর এক সন্ত্রাসীর গুলিতে ওসমান নিহত হলে ওই গ্রুপের দায়িত্ব নেন তার ছোট ভাই তোফায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তোফায়েল বাহিনী মফিজকে হত্যা করে থাকতে পারে।

জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘দুই পরিবারে মধ্যে পূর্ব শত্রুতা আছে। শত্রুতার জের ধরে দুই পরিবারের দুই জন খুনও হয়েছেন। ওই শত্রুতার জের ধরেই মফিজ খুন হয়েছেন কিনা সেটি আমরা এখনও নিশ্চিত নই। সম্ভাব্য সব বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এর সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনা জড়িত কিনা সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত করার আগে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’